1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম সি ই পি জেড এ কর্মরত তহমিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ কালাইয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির অবস্থান কর্মসূচি খুলনা বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতা সামসুল ও শফিকুল কে দল থেকে বহিষ্কার দাম্ভিকতার কারণেই হাসিনা সরকারের পতন- মির্জা ফখরুল যুবদল নেতার উপর হামলার বিচারের দাবিতে আমতলীতে বিক্ষোভ সমাবেশ সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডাঃ সাইফুল্লাহ চট্টগ্রামে  গ্রেফতার।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী বাকলিয়ার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কথিত যুবলীগ নেতা মোঃ সাদ্দাম গ্রেফতার। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত 0১,আহত-0 ৫ ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী বাজারে গণঅধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কালো পতাকা গণমিছিলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৯ জন দেখেছেন

মোঃরিয়াজ উদিন, চট্টগ্রাম।

দেশের করের টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা
দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন নৌকায় ভোট চাইতে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা
দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের করের টাকা দিয়ে। দলবল,
পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত হয়েছেন। ব্রিকসের নাকি সদস্য হবে।
ওখানে যে ওদের অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার আছে। যারাই ওখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছে
বা উপস্থিত ছিলো তাদের ছবিতেও শেখ হাসিনা নেই। তাহলে শেখ হাসিনা কোথায়
ছিলো? ওই বাংলাদেশী কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন ওখানে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে
যত বাঙ্গালি থাকে তার ৯০ শতাংশ হচ্ছে বিএনপি। আমি জেনে বলছি। ১০ শতাংশ
হচ্ছে তারা, যাদের পরিবার এখানকার লুটপাটের ভাগ পাচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ
সরকার থেকে। এদেরকে নিয়ে উনি একটি সভা করেছেন ওখানে। গেছেন কোন কাজে,
করছেন কি। গেছে ওখানে সদস্যপদের জন্য। ওখান থেকে বঞ্চিত হয়ে এদের সাথে
গিয়ে সভা করছে। ওখানে কি বলছে? নৌকায় ভোট দিতে বলছে। ওরা কেউ কিন্তু
ভোটার না? ওরা তো দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে। বাংলাদেশের করের টাকা খরচ করে
আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন কি নৌকায় ভোট চাইতে?

তিনি শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে
কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির
উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কালো
পতাকা হাতে নিয়ে গণমিছিলটি কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে
লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, চেরাগী মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ
হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম
আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান
বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান
শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম
নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন সেখানে। সে
সভায় বিএনপিকে মন খুলে গালিগালাজ করেছেন তিনি। দেশে যেরকম সকাল বিকেল
প্রতিদিন করে, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ
সবাইকে মন খুলে গালি দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের করের টাকা দিয়ে দক্ষিণ
আফ্রিকায় গিয়ে বিএনপিকে কেনো গালি দিতে হবে? প্রতিদিন তো বাংলাদেশে
দিচ্ছেন। এটার জন্য কি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার দরকার আছে? কারণ হচ্ছে
ওখানে গিয়ে কোনো জায়গায় উনার জায়গা হয়নি। পাত্তা পাইনি। এজন্য ঘরের কোণের
মধ্যে কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে উনি বক্তব্য রেখেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। শুধু কয়েকটি জায়গায়
যেতে পারবে। একটি হচ্ছে প্রতিদিন টাকা দিয়ে বিরানী খাইয়ে শান্তি কমিটির
মিটিং করা। আবার টাকা নিয়ে, বিরানী খেয়েও বিএনপির মিছিলেও চলে আসে অনেকে।
এটা আমি সত্যি কথা বলছি। এই হলো জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের অবস্থা।

তিনি বলেন, আরেকটা হচ্ছে কিছু আওয়ামী পুলিশ আছে, তাদেরকে ব্যবহার করে
মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা দেবে। আর বিএনপির প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে পরে
গ্রেফতার করবে।শতবছরের পুরনো অস্ত্র দিয়ে বলে তারা নাকি অস্ত্র নিয়ে ধরা
পরেছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্ভরশীলতা। এরপর বিচারবিভাগকে ব্যবহার
করে মিথ্যা মামলা ও গায়েবী মামলাকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের
দ্রুতগতিতে জেলে পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমি আগে বলেছিলাম
বাংলাদেশ আওয়ামী বিচারক লীগ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরা আওয়ামী লীগের
আরেকটি অঙ্গ সংগঠন। এই যে মিথ্যা মামলা, ফৌজদারি মামলা ও গায়েবী মামলা
দিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলীয় ও ভিন্নমতের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া
হচ্ছে।

তিনি বলেন, এগুলো কিছু পুলিশ ও কিছু আওয়ামী দলীয় লোকজন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
যে আইনে এসব মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে সে আইনেও এইটাও বলা আছে যদি মামলা
মিথ্যা হয় তাহলে সেটা শাস্তিযোগ্য ও দন্ডনীয় অপরাধ। এটার শাস্তি আজীবন
কারাদন্ড হতে পারে। আপনার যারা এসব কাজ করছেন ভেবে দেখেন সারাজীবন কি
জেলখানায় চান নাকি সংবিধান আপনাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে জনগণের সুরক্ষার
জন্য পালন করবেন। একটি দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য, একটি ব্যক্তিকে ক্ষমতায়
বসানোর জন্য যদি জনগণের বিরুদ্ধে এই ধরণের অবস্থান নেন তাহলে আজীবন জেলে
কাটাতে হবে। জরিমানা দিতে হবে।

তিনি বলেন, আগামীদিনে যে নির্বাচন আসছে সেটা বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য যারা
ভূমিকা পালন করবে, তাদের আমেরিকার ভিসা তো বাতিল হবেই। সেটা সমস্যা নেই।
ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতে পারবে না। চলে আসতে হবে। চুরি করে যে বাড়িঘর করে
সেসব আমেরিকান সরকার নিয়ে নেবে। তাদেরকে বিতাড়িত করবে। তাদের ছেলেমেয়েরা
কেউ পড়তে যেতে পারবে না। যেগুলো আছে পাঠিয়ে দেবে। আর তারা তো যেতেই পারবে
না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে স্যাংশন দেবে এখান থেকে কেউ মুক্তি পাবে
না।

তিনি বলেন, যারা গ্রেফতার করতে আসে রাতের অন্ধকারে তাদের ছবি তুলবেন।
বিএনপি ভদ্রলোকের দল। এখনও কিন্তু সুশৃঙ্খল্ভাবে, অহিংসভাবে জনগণকে সাথে
নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা প্রতিবাদ করছি। কিন্তু বাসায় বাসায় গিয়ে
সন্ত্রাসী, গ্রেফতার, গায়েবী ও মিথ্যা মামলা এই ধারা যদি চলতে থাকে এখন
তো প্রতিবাদ করছি তখন প্রতিরোধ করবো।  প্রতিরোধ কি জিনিস তখন বুঝতে
পারবেন।

আমীর খসরু বলেন, এখানে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আছে। কেউ যদি কোনো
নাগরিকের নাগরিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেয় তাহলে সেই
নাগরিকের অধিকার আছে সেটা প্রতিরোধ করা। আবারও বলছি দেওয়ালের লিখন পড়তে
শেখেন। দেওয়ালের লিখন হচ্ছে শেখ হাসিনার বিদায়। এখনও যারা যারা পড়েননি,
পড়ে নেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের
রহমান শামীম বলেন, আজকে চট্টগ্রাম শহর কালো পতাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত
হয়ে

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......